খবর ৭১: এবার লাগাম ছাড়া রাজধানীর মুরগির বাজার। একদিনের ব্যবধানে মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড গড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ঠেকেছে ২৪০ টাকায়। দামের উত্তাপে আবার গরম হচ্ছে ডিমের বাজারও।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
হঠাৎ চড়ে গেছে রাজধানীর মুরগির বাজার। পোল্ট্রি খাতে অস্বস্থি। ভোক্তাদের চরম বিপাকে ফেলে দাম বৃদ্ধির নতুন রেকর্ড ব্রয়লার মুরগির। একদিনের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।
এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে প্রায় ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। এদিকে দাম বেড়েছে সোনালি মুরগিরও; বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৩০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও যা পাওয়া যেত ২৬০ টাকায়। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা জানান, এর আগে কখনোই এতো দামে কেনাবেচা হয়নি ব্রয়লার। এককদিনে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারে হঠাৎ দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তারা জানান, অনেক দিন লোকসান গুনে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে আবার বেড়েছে খাদ্যসহ উৎপাদন খরচ।
আর ক্রেতারা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এত দাম দিয়ে মুরগি কেনা কষ্টকর।
এদিকে চাহিদা মতো যোগান না পাওয়ার কথা জানালেন দাম বাড়তে থাকা ডিমের বিক্রেতাও। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিমের দাম ডজন প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। বাজারে লাল ডিম ডজন প্রতি ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন পর্যায়ে তদারকি করে বাজারে ভোক্তার নাভিশ্বাস ওঠার যৌক্তিকতা নিরূপণের তাগিদ জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
এছাড়া বাজারে অন্যান্য মাংসের দামও বাড়তি। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছাড়িয়ে যায় ১৯০ টাকা। পরের ২ দিনে তা ঠেকে ২১০ টাকায়। তবে ৬ ফেব্রুয়ারি দাম কিছুটা কমলেও তা থেকে যায় ২০০ টাকার ওপরে।