আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে গেছে। ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে নিহত ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারে এখনও অভিযান চললেও সেই আশা অনেকটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করা এক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে শনিবার জার্মান উদ্ধারকারীরা ও অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনী অনুসন্ধান অভিযান স্থগিত করেছে।
একজন উদ্ধারকারী বলেছেন, খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিরাপত্তা আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, হাতায় প্রদেশে অজ্ঞাত গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে অস্ট্রিয়ান ফোর্সেস ডিজাস্টার রিলিফ ইউনিটের কয়েক ডজন কর্মী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার বেস ক্যাম্পে আশ্রয় চেয়েছে।
এক বিবৃতিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিয়েরে কুগেলওয়েস বলেছেন, তুরস্কে দলগুলোর মধ্যে আগ্রাসন বাড়ছে। একটি জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা নিরাপত্তা ঝুঁকির সঙ্গে কোনো যুক্তিসঙ্গত সম্পর্ক বহন করে না।
সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ গ্রুপ আইএসএআর ও জার্মানির ফেডারেল এজেন্সি ফর টেকনিক্যাল রিলিফের (টিএসডব্লিউ) জার্মান শাখাও নিরাপত্তা উদ্বেগ উল্লেখ করে অপারেশন স্থগিত করেছে।
অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লুটপাটের অভিযোগে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি বন্দুকও জব্দ করা হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে কেউ আইন ভঙ্গ করলে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করবেন তিনি।