মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর প্রতিনিধি :
নীলফামারীর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি আভিযানিক দল
সৈয়দপুরে মাদক উদ্ধার অভিযান গিয়ে ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে। এ সময় শরীরে বিশেষ কায়দায় এ সব স্বর্ণের বার বহনকারী একটি
দূরপাল্লার বাসের দুই যাত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল নয়টায় সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়কের কামারপুকুর
বাজারের অদূরে সুরেশ ওজন মেশিন ঘরের সামনে থেকে ওই স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা জানান, তাঁরা স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও
যাচ্ছিলেন। এ সব স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। গ্রেফতারকৃত যাত্রীরা হচ্ছে, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকার নুরুল উল্লার ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ (২৬) এবং একই এলাকার সুমন আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (২৫)। তাঁরা দুজনেই ঢাকার
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
নীলফামারীর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) শরীফ
উদ্দিন জানান, তারা গোপন খবরের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে ঢাকা থেকে মাদকের বড় একটি চালান সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়ক হয়ে আসছে। আর এ খবর পেয়ে ওই মাদকের চালান আটকের জন্য অধিদপ্তরের একটি আভিযানিক দল গতকাল শনিবার সকাল থেকে সৈয়দপুর- রংপুর মহাসড়কে
কামারপুকুর এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা মহাসড়ক দিয়ে আসা দূরপাল্লার বাসগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা নাবিল পরিবহনের
একটি কোচে তল্লাশির সময় দুই যাত্রীর গতিবিধি ও কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখে সন্দেহ হয়। এরপর তাদের শরীর তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ
কায়দায় রাখা কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো সৈয়দপুর গোল্ড হল মার্ক
সেন্টারে এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় স্বর্ণের বারগুলো ২৪ ক্যারেটের বলে নিশ্চিত করা হয়। উদ্ধারকৃত প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ১০ ভরি এবং ২০টি স্বর্ণের বারের মোট ওজন ২০০ ভরি। যার মূল্য এক কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এদিকে স্বর্ণ উদ্ধারের পর একই এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে অভিযান চালায় তারা। অভিযানে ওই বাসের দুই নারী যাত্রী হাবিবা (৩৫) ও সুমি(৩২) কে আটক করে তারা পরে আটক দুজনের তথ্যর ভিত্তিতে বাসের লকারে থাকা একটি ব্যাগে রাখা বিশেষ কায়দায় পেচানো ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব গাঁজার মূল্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।
এসব ঘটনায় স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক আইনে সৈয়দপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি
চলছে বলে জানান নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন ।