খবর ৭১: প্রবল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেবল তুরস্কেই নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১২ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৩৮৩ জন। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরাদোয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
তবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, ১৯৩৯ সালের পর থেকে তুরস্কে এটাই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের খবর অনুসারে, ১৯৩৯ সালে এরজিনকানে আঘাত হানা যে ভূমিকম্পের কথা তুর্কি প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন, সেটির আঘাতে ৩৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। এছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটিতে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে নিহত হন ১৭ হাজারের বেশি। এরদোয়ান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৪৫টি দেশ তাদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
সোমবারের এ ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশপাশি সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ৩২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।
ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তুরস্কের যেসব এলাকায় রাতভর ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে কোনো খবর পাওয়া যায়নি, সেগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।
ডব্লিউএইচওর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, জাতীয় কর্তৃপক্ষগেুলো এই মুহূর্তে অনুসন্ধান ও উদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করছে। এরপর আমরা আহতদের চিকিত্সা ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সহায়তার জন্য বাড়তি ট্রমা কেয়ারের দিকে নজর দেবো।