খবর ৭১: বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে জোটের নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি জানান, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন, বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে গণপদযাত্রা ও গণসংযোগ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ ধারায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বর গোল চত্ত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হবে। পরে সেটি আগারগাঁও, ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে মতিঝিল গিয়ে শেষ হবে।
সাইফুল হক আরও বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা দাবিতে রাজপথে নামবে। সরকার যদি সোজা পথে না হাটে সেক্ষেত্রে গণজাগরণ জোরদার করে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির মাধ্যমে এই সরকারকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে বিদায় করা হবে। কারণ এই সরকারের নৈতিক কোনো ভিত্তি নেই ক্ষমতায় থাকার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি বইমেলা উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নাকি সংবিধান অশুদ্ধ হয়ে যাবে৷ তাহলে ১৯৯৬ সালে যে ১৭৬ দিন হরতাল দিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে, তখন কি সংবিধান অশুদ্ধ হয়নি? যে সংবিধান জনগণের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার রক্ষা করতে পারে না, তাকে পরিবর্তন করা ফরজ৷
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ জোটের নেতারা।
সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি পুরানা পল্টন, বিজয় নগর, নাইটেঙ্গেল মোড় হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।