রাজধানীতে আতঙ্কের নাম ছোঁ বা থাবা পার্টি। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত ১৬টি স্পটে এই পার্টির সদস্য সংখ্যা শতাধিক। আর তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে তিন মহাজন। থাবা পার্টির ১৬ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
একজনের কাঁধে ভর করে আরেকজন উঁকি দেয় বাসের জানালায়, টার্গেট মোবাইল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছোঁ মেরে নিয়ে যাচ্ছে মোবাইল ফোনটি।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হর হামেশাই ঘটছে এমন ঘটনা। বিশেষ করে বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজিতে চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত বিপদে পড়ছেন অনেকেই। ছোঁ বা থাবা পার্টির খপ্পরে পড়ে খোয়াচ্ছেন দামি মোবাইল।
সম্প্রতি এমন কয়েকটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এই পার্টির বড় একটি সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬ জনকে।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে ডিএমপির (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, রাজধানীর মহাখালী থেকে টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত ১৬টি স্পটে ওঁত পেতে থাকে থাবা পার্টির সদস্যরা। এর মধ্যে আমতলী, বনানী, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর এলাকা, উত্তরা এবং আব্দুল্লাহপুরে এই চক্র বেশি সক্রিয়।
ডিবিপ্রধান জানান, এই চক্রটিকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদেরকে বলা হয় মহাজন। এরকম মহাজন আছেন তিনজন। প্রতিদিন ছিনতাইকৃত সব মোবাইল আসে এই তিনজনের কাছে। এই মোবাইলের ক্রেতা আছে এক ডজনেরও বেশি। আইএমইআই পরিবর্তন অথবা যন্ত্রাংশ আলাদা করে তারা বিক্রি করে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন থাবা পার্টির একজন সদস্য অন্তত তিনটি মোবাইল ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। সেই হিসেবে ১০০ সদস্য ৩০০ মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।