অস্থির মুরগির বাজার, স্বস্তি নেই কাঁচাবাজারেও

0
155

খবর ৭১: আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে মুরগির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে ডিম, চিনি, রসুনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম। তবে চাল, ডাল, আদা, মাছ বিক্রি হচ্ছে পূর্বের দামেই।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৫০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিলো ২৭০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৫০০ টাকা। আগের সপ্তাহে ছিলো ৪৭০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি।

মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। ফার্মের ডিম ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা সাত দিন আগে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ২৮ টাকা ছিলো। প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে লবঙ্গ ১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। কেরালা জাতের আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

শীত কমার সঙ্গে বাজারে সরবরাহ কমছে শীতকালীন বিভিন্ন সবজির। এতে কিছু সবজির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। কাঁচামরিচের দামও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে চালের দামে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। মোটা ব্রি-২৮ চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি, চিকন চাল মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশে চিনির দাম গত চার মাসে তিন দফায় ২৬ শতাংশ বাড়ানোর পরও বাজার এখনো অস্থিতিশীল। প্যাকেটজাত চিনি বাজারে নেই। খোলা চিনি পাওয়া গেলেও সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়েও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনি ব্যবহৃত খাবারের দামও বাড়ছে।

সর্বশেষ গত ২৬ জানুয়ারি চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা করে বাড়িয়ে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নতুন এ দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু বাজারে সরবরাহ সংকট ও পাইকারিতে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দিয়ে সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা সাত দিন আগে ৭০০ টাকা ছিলো। প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১১০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ১০০০ টাকা ছিলো। কাওরান বাজারের মাংস বিক্রেতারা জানান, খামার ও হাটে গরু ও খাসির দাম বেড়েছে। যে কারণে বেশি দামে পশু কিনে বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here