খবর৭১ঃ রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে চলন্ত বাস থেকে ফেলে আবু সায়েম মুরাদ নামে এক যাত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক রোডে এ ঘটনা ঘটে। বাস থেকে ফেলে দেওয়ার পর মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টায় মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে শনিবার বেলা ১২টায় দুই বাসের চাপায় এক কিশোর নিহত হয়েছে। নিহত রিফাত মুন্সি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হাজিরগল গ্রামের রিকশাচালক কাজল মুন্সির ছেলে। রিফাত সায়েদাবাদ এলাকাতেই বসবাস করত।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরে চলন্ত বাস থেকে মারধর করে ফেলে দেওয়া হয় মুরাদকে। এরপর ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন দিয়েছে এবং চালক শাহআলম ও হেলপার মোহনকে পিটুনি দিয়েছে। তাদের আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মুরাদের বড় ভাই আবু সাদাত অভিযোগ করেন, মুরাদ মতিঝিলে একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন। বিকালে তিনি ৮ নম্বর বাসে করে মতিঝিল থেকে যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরছিলেন। শহিদ ফারুক রোডে বাসের হেলপার তাকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। শহিদ ফারুক রোডের টনি টাওয়ারের বিপরীত পাশের ২০২/২/এ নম্বর নিজ বাড়িতে থাকতেন অবিবাহিত মুরাদ। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে মুরাদ ছিলেন তৃতীয়।
সায়েদাবাদে নিহত রিফাতের সহকর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, বাস টার্মিনালে সেন্টমার্টিন পরিবহণের একটি বাসে গ্রিজ দেওয়ার কাজ করছিল রিফাত। সে বাসের সামনে ছিল। এ সময় ব্যাপারী পরিবহণ নামের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, রিফাতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।