রেদোয়ান হোসেন জনি, মিরসরাই প্রতিনিধিঃ
মিরসরাইয়ে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই যুবলীগ কর্মীর নাম শহিদুল ইসলাম আকাশ (৩০)। সে উপজেলার ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চিনকিরহাট বাজারের শহিদুল ইসলাম আকাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাজমা টিম্বার এন্ড ফার্ণিচার মার্টে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পর রাত ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আকাশ। আকাশ হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের মানত মিঝি বাড়ির নুরুল ইসলামের একমাত্র পুত্র। পুলিশের দাবি, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুন বাহিনীর প্রধান মামুন আকাশকে কুপিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় বারইয়ারহাট-করেরহাট সড়কের চিনকিরহাট বাজারে যুবলীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম আকাশের মালিকানাধীন নাজমা টিম্বার এন্ড ফার্ণিচার মাটে বসে ব্যবসায়িক কাজ করছিলেন। এসময় স্থানীয় ইসলামপুর গ্রামের সন্ত্রাসী হুমায়ুন কবির মামুনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১০-১৫ জন হামলা চালায় আকাশের উপর। হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় আকাশকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবণতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আকাশ।
শহিদুল ইসলাম আকাশের পিতা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মামুন ও মোতালেবের নেতৃত্বে তার ছেলে আকাশকে কুপিয়েছে। মামুন সন্ত্রাসী প্রকৃতির। সে অনেক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। আমি আমার ছেলে খুনের যথোপযুক্ত বিচার চাই।’
হিঙ্গুলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, শহিদুল ইসলাম আকাশ রাজনৈতিক কোন পদ পদবীতে না থাকলে ইতিপূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি হিঙ্গুলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ছিলেন।
হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ধ্যা ৬ টায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আধিপত্য নিয়ে হামলা করে শহিদুল ইসলাম আকাশের ওপর। ২০০০ ও ২০১৮ সালেও তাঁর ওপর হামলা হয়েছিল। এবার তাঁকে (আকাশ) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।
হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া জানান, ‘আমি খুনের ঘটনা সম্পর্কে সঠিক এখনো জানি না। আমার এলাকায় সন্ত্রাসী নেই। বারইয়ারহাটকেন্দ্রিক কিছু ছেলে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। কে জড়িত পুলিশ তদন্ত করে বের করবে।’
জোরারগঞ্জ থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএসআই আবদুল বাতেন জানান, ‘স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুন বাহিনীর প্রধান মামুন আকাশকে কুপিয়েছে। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। ঘটনাস্থলে পুলিশের দুইটি দল কাজ করছে। এখনো থানায় লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি।’