খবর৭১ঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৯ জনে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে আরও ৩৬৩ জনের শরীরে। তাদের মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৬ জনে।
এদিকে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তে হার দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আগের দিন ছিল ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, তার আগের দিন ছিল ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৩৪০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এতের আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৬০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৪৭ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে