উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■২৭৪ (মোবা: ০১৭১৫-৯০৯৪৭২): নড়াইলে এ বছর পশুর হাটগুলোতে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। তাই বড় গরুর তুলনায় মাঝারি গরুর দামও তুলনামূলক ভাবে বেশি। বন্যা ও ভারতীয় গরুর কারণে দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা খুশি হলেও গরুর মালিকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। বিস্তারিত উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, নড়াইল জেলায় মোট ১৩ টি পশুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ৩ টি, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ৫ টি ও নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ৫ টি। এছাড়াও ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে কয়েকটি পশুর হাট গড়ে উঠেছে। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেন খান জানান, তিনি ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি এঁড়ে গরু কিনেছেন। নড়াইল সদর উপজেলার ফেদী গ্রামের পিকুল মল্লিক জানান, তিনি ২৮ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নোয়া গ্রামের জিয়াউল ইসলাম রাজু জানান, ৬০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন। বাজারে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি গরু ১০/১৫ হাজার টাকা কম। গরুর খামারী সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তার খামারের দুটি গরু বিক্রি করতে পারছেন না। চার মাস আগে যে গরুর দাম ৮০ হাজার টাকা ছিল, সেই গরু এখন ৬৫ হাজার টাকার বেশি দাম উঠছে না। বন্যা ও ভারতীয় গরু আসার কারণে দাম কম বলে তিনি মনে করছেন। গরু ব্যবসায়ী লোহাগড়া উপজেলার চরব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহমান ঠাকুর জানান, গরুর বাজার আগের থেকে ডাউন (কম)। আগে যে সব গরু ৭০ হাজার টাকা ছিল। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ১০/১২ হাজার টাকা কমে গিয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কমকর্তা ডা: মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নড়াইল জেলায় ছোট বড় আকারের চার হাজার ৮৪৫ টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ১ হাজার ২১০ টি, লোহাগড়া উপজেলায় ১ হাজার ৮২২ টি এবং কালিয়া উপজেলায় ১ হাজার ৩১৩ টি। তিনি বলেন, এসব খামারে কুরবানি ঈদে এবার ২৪ হাজার ৫৩১ টি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার ৬৮১ টি ছাগল কোরবানির ঈদে বিক্রির উপযুক্ত রয়েছে। আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রয়েছে। কেউ যাতে পশুর শরীরে ক্ষতিকারক ইনজেকশন পুশ না করে সেদিকে বিশেষ নজর দারি করা হচ্ছে। হাটে মেডিকেল টিম রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন গরুর বাজার স্বাভাবিক আছে।
খবর ৭১/ইঃ