খবর ৭১: সাভারে সামিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী সাদনাম সাকিব হৃদয়কে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হাসপাতালে নেন অভিযুক্তরা। পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাদনাম সাকিব হৃদয় সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকার জাকারিয়া হোসেনের ছেলে। তিনি গ্রামীণ ফোনের সাবেক কর্মকর্তা। বর্তমানে বেকার। নিহত সামিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার মিজানুর রহমানের মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিয়ের সময় বাড়ি থেকে সামিয়াকে দেওয়া ২৫ ভরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
নিহতের মামা আশিকুর রহমান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর হলো পারিবারিকভাবে সামিয়াকে বিয়ে করে হৃদয়। বিয়ের সময় সামিয়ার বাবা ও মামারা মিলে ২৫ ভরি স্বর্ণের গহনা, মোটরসাইকেল, ও তিন লাখ টাকার ফার্নিচার উপঢৌকন হিসাবে দেন। বিয়ের কিছুদিন পরই কৌশলে সামিয়ার গহনা হাতিয়ে নেন সামিয়ার শাশুড়ি জায়েদা পারভিন। মাঝে মধ্যেই এই গহনা নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতো সামিয়ার। এসব নিয়ে কথা বললেই সামিয়াকে নির্যাতন করা হতো।
গতকালও এই গহনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বিকেল ৩টার দিকে সামিয়া ফোন করে আমাদের জানায়- তাকে মারধর করেছে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। ৩টা ৩৭ মিনিটে সামিয়ার স্বামী আমাদের ফোনে জানায়- সামিয়া স্ট্রোক করেছে। পরে আমরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সামিয়ার মরদেহ দেখতে পাই। স্বর্ণ নিয়ে কথা বলায় আমার ভাগনিকে ওরা হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, সামিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী সাদনাম সাকিব হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সামিয়ার শ্বশুর জাকারিয়া হোসেন ও শাশুড়ি জায়েদা পারভিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।