খবর৭১ঃ শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমাসিংহে (৭৩)। শপথ গ্রহণ শেষে দেশকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের করে আনার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেও জনগণের কাছে তিনি অপ্রিয় পাত্র। তবে কিছু প্রতিবাদকারী বলেছেন, তারা তাকে একটি সুযোগ দেবেন। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ব্যাপক অস্থিরতার কবলে পড়েছে।
অনেকে রাজাপাকসে প্রশাসনকে সঙ্কটটি ভুলভাবে পরিচালনা করার জন্য দোষারোপ করেন এবং বিক্রমাসিংহেকে সমস্যার অংশ হিসাবে দেখেন। বিক্রমাসিংহে পার্লামেন্ট ভোটে জয়ী হওয়ার পরদিনও রাস্তায় কিছু বিক্ষোভ দেখা গেছে। তবে রাজধানীতে সরকারি ভবনের আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ছিল।
গত সপ্তাহে বিক্ষোভে যোগদানকারী এক নারী বিবিসিকে বলেছেন, তিনি এখানে আছেন এবং আমরা দেখব তার কাজ কি। যদি আমরা কোনো খাবার, কোনো ওষুধ না পাই, তাহলে আমরা রাস্তায় নামব।
বিক্রমাসিংহে ক্ষমতাসীন দল শ্রীলঙ্কার পিপলস ফ্রন্ট (এসএলপিপি)-এর সমর্থনে আইন প্রণেতাদের শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জিতেছেন।
তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুলাস আলাহাপেরুমাকে পরাজিত করেছেন বিপুল ভোটে। যে কিনা বিরোধীদের সমর্থনে একটি ভিন্নমতাবলম্বী শাসক দলের এমপি। রনিল বিক্রমাসিংহে ১৩২ এবং দুলাস আলাহাপেরুমা ৮২ ভোট পেয়েছেন।
বিক্রমাসিংহে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন যাতে দেশটি একটি বেলআউট প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করতে পারে।
তিনি পার্লামেন্টকে বলেছিলেন, জাতি খুব কঠিন পরিস্থিতিতে এবং সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে ভোটের পর অনেকেই তার জয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
শ্রীলঙ্কান অ্যাক্টিভিস্ট জিনা ডি জোয়েসার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আমি এই ফলাফলে একেবারেই বিরক্ত। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে ১৩৪ জন জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য জনগণের চাওয়াকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছেন।