খবর৭১ঃ আজ অফিস-আদালত খুললেও ঈদের ছুটির আমেজ এখনও রয়েছে। সড়কগুলোতে রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী চিরচেনা যানজট নেই। রাস্তাঘাট এখনও একেবারেই ফাঁকা। অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁও বন্ধ। যানজট তো নেই-ই, সড়কে গাড়ি এবং মানুষের চলাচলও খুব কম। যেসব গন্তব্যে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যেত, সেগুলোতে এখন যাওয়া যাচ্ছে কয়েক মিনিটেই। যানজটের নগরী ঢাকা যেন পুরোই অচেনা।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) গুলিস্থান, পল্টন, সচিবালয়, কাকরাইল, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট, শাহবাগ, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, শ্যামলী ও কল্যাণপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাংলামোটরে কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গোলাম ইয়াছিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, পাবনা থেকে আজ সকালেই ঢাকা এসেছি। ঢাকায় আসতে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা লেগেছে। মহাসড়কে কোনো যানজট নেই, একেবারে ফাঁকা। আবার ঢাকার গাবতলী থেকে বাংলামোটর আসতে মাত্র ১০ মিনিট লেগেছে। অন্য সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে কেটে যেত।
তিনি বলেন, ঢাকার সড়কগুলো যদি সবসময় এমন ফাঁকা থাকত তাহলে মানুষের হাজার হাজার কর্মঘণ্টা বেঁচে যেত।
ফার্মগেটে কথা হয় রিকশাচালক আবু দাউদের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত তিন দিন ধরে ঢাকার সড়কগুলো আমার কাছে পরিচিত মনে হচ্ছে না। একেবারেই ফাঁকা। মানুষের এখনও ঈদ শেষ হয়নি। তাই আমরা ফাঁকা রাস্তায় রিকশা চালাতে পারছি।
তিনি ধারণা করে বলেন, শুক্রবার থেকে পুরোদমে মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করবে। রোববার থেকে এই ফাঁকা সড়কে যানজট লেগে যাবে।
শুধু রাজধানীর রাজপথ নয়, অলিগলিতেও ঈদের ছুটির আমেজ দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলির ছোট মুদির দোকান ও চায়ের দোকানগুলোতেও নেই চিরচেনা আড্ডা। ফাঁকা অলিগলিতে খুব কম সংখ্যক মানুষ জরুরি প্রয়োজনে বের হচ্ছেন।
এদিকে উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রবেশদ্বার গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও নেই গণপরিবহনের ভিড়। ঈদ উদযাপন করে জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ ঢাকায় ফিরছেন। অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে অনেক দূরপাল্লার বাসকে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। তবে এক্ষেত্রে যাত্রীদের ভাড়া বেশি গুণতে হচ্ছে।