২১১৬ কোটি টাকায় ১০ প্রকল্প অনুমোদন

0
244

খবর৭১ঃ দেশে মসলার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে উন্নত জাতের মসলার চাষ এবং নতুন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোরদার করতে চায় সরকার। এজন্য ১১৯ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ প্রকল্পসহ ২ হাজার ১১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ও বৈদেশিক অর্থায়ন ৩৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগ দেন। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে মসলার অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বাজার মূল্যও অন্য ফসলের তুলনায় বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলার ব্যবহার হয়, কিন্তু মাত্র ৭ ধরনের মসলা জাতীয় ফসল দেশে উৎপাদিত হয়। ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সিংহভাগই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমাতে স্থায়ীভাবে মসলার উৎপাদন বাড়ানোর আবশ্যকতা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র এখন পর্যন্ত ২২টি মসলা জাতীয় ফসলের ৪৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা ও পানি ব্যবস্থাপনা, পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, পোস্ট হারভেস্ট প্রযুক্তিসহ ৬৬টি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। এ সব জাত ও প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ সম্ভব হলে দেশে মসলার উৎপাদন ও কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমানো যাবে। দেশের ১১০টি উপজেলা ও ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টারে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৭ মেয়াদে দেশের ১১০টি উপজেলায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প: যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প। কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহসড়কের ৮১ কিলোমিটারের রেলবাজার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প।

চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়ীয়া-পাথরঘাটা মহাসড়কের পিরোজপুর অংশের জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত বেইলি সেতুর স্থলে পিসি গার্ডার সেতু ও আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প।

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প; জামালপুর শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প; বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প।

এছাড়া ঢাকা সেনানিবাসে এমইএস’র ভৌত অবকাঠামো সুবিধাদি সম্প্রসারণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কার্যক্রম জরুরি সহায়তা প্রকল্প। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here