হাবিবুর রহমান নাসির ছাতকঃ
তেলবাজীর পৃথিবীতে আজ কোনটা তেলবাজী আর কোনটা তেলবাজী না বোঝা দায়। তাই এমন একজন মানুষকে নিয়ে লেখা নিশ্চই কোন তেলবাজী নয়, বরং যথাযথ মূল্যয়ন করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। যে যাই বলুক সত্যকে কখনো চাপাদেয়া যায়না। ইমেটিশন যতই জ্বলজ্বল করুক না কেন তা ক্ষণস্থায়ী।
স্বর্ণ তা আপন আলোয় জ্বলজ্বল করে উঠবেই।
যাই হোক, যার কথা বলবো তিনি হলেন,ছাতক উপজেলার ইউএনও মামুনুর রহমান । যিনি এখানে যোগদানের কিছুদিন পরেই, বৈষম্যের দেয়াল ভেঙ্গে প্রথমেই তার দপ্তর উন্মুক্ত করেছেন সর্বসাধারণের জন্য।ছুটে চলছেন মাঠে-ঘাটে, হাটে-বাজারে, পথে-প্রান্তরে। দাপ্তরিক দায়ীত্বের বাইরেও অনেক সেবা করছেন মানুষের।নিজের কথা চিন্তা না করেই বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।ইতিহাসের সব রেকর্ড পিছনে ফেলে নতুন রেকর্ড করেছে এইবন্যা। বিশাল পানির বেগ আর বজ্রসহ বৃষ্টির মাঝে থেমে ছিলনা উদ্ধার অভিযান আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার পৌছে দেয়া। এই ভয়াবহ বন্যায় তখন নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মানুষের জীবন বাঁচাতে দিন রাত কাজ করেছেন ।দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন।বাড়ী ঘর থেকে পানি কমতে শুরু করার পর বিদ্যুৎ এর খুঁজ খবর নেন, যেখানে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা যায় যেখানে যত দ্রুত সম্ভব লাইন চালু করতে অনুরোধ করেন কর্তৃপক্ষে।
এমন বীরকে কেউ হয়তো বাহাবা দিবেনা বা রাষ্ট্র দিবেনা বিশেষ কোন স্বীকৃতি, অকৃতজ্ঞ মানুষ বলবে এটা তার পোশাগত দায়িত্ব। কিন্ত পেশাগত দায়িত্ব এদেশে অনেকেই পালন করে ঘুষ, দূর্নীতি করে অনেক সুনাম করার কথা আমাদের জানা আছে। হয়তো আজ আমরা ঐসব অনিয়মকে নিয়ম মনে করি। অশুভরাই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। প্রচার বিমুখ মানবিক মানুষ গুলো আজ হয়ত অশুভদের মাঝে সংখ্যলঘু।
ছাতক বাসী যুগের পর যুগ মনে রাখবেন মামুনুর রহমান স্যার কে।।