খবর৭১ঃ
পাবনা ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে পাবনা জেলহাজতে পাঠিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে পাবনা জেলাহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে গত শনিবার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকারিয়া পিন্টুকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। পরদিন রোববার গ্রেপ্তাকৃত আসামিকে পাবনা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে রাতেই জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পিন্টু পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারখালী কাঁচাপরীপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে। আটককৃত শীর্ষস ন্ত্রাসী পিন্টু ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ২০১৯ সালে ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ আদালত। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টুর এই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মোট ২৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি তিনি।
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পথসভা করার কথা থাকলেও বর্ণিত আসামি বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্য আসামিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেইসঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।