খবর৭১ঃ করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৫ জন, গতকাল ছিল ১ হাজার ৩১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কেউ মারা না যাওয়ায় দেশে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩৫ জনই রয়েছে। তবে এই সময়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২১৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা গতকাল এই হার ছিল ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮৫০টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৮৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হওয়া রোগী বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ছয় হাজার ৪১৭ জনে।
দেশে দিন যত যাচ্ছে ফের করোনার প্রকোপ ততই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে চতুর্থ ঢেউয়ের ইঙ্গিত বলে আশঙ্কা করছেন।
দেশে করোনা সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারির পর ২০ জুন অর্থাৎ দীর্ঘ ৪ মাস পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্তের হার দশ শতাংশ (১০ দশমিক ৮৭) ছাড়িয়ে যায়।
তার আগের দিন (১৯ জুন) এই হার ছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সর্বশেষ মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা এই মুহূর্তে আরেকটি ঢেউসহ রোগী বৃদ্ধির শঙ্কা জাগাচ্ছে।
কারণ ২০ জুন ৮ হাজার ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা কমলেও (৭ হাজার ৮৯৩টি) শনাক্ত হার ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তও বাড়বে।আর গতকাল (বুধবার) ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে হয় ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।