খবর৭১ঃ রাজধানীর শাহজাহানপুর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও পথচারী কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন সুমন শিকদার অরফে মুসা ওমানে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদ্য অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া মহিউল ইসলাম।
অতিরিক্ত ডিআইজি মহিউল ইসলাম বলেন, ওমান পুলিশ ও আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল মুসাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আমাদের। পুলিশের পক্ষ থেকে ওমানের হাইকমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাকে ওমান থেকে ফেরত আনার বিষয়ে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
মহিউল ইসলাম বলেন, এ মামলার তদন্তে মুসার নাম আসার পর তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল বাংলাদেশের পুলিশ। বাংলাদেশের হয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি ডেস্ক। পরে বেশ কিছুদিন ধরে মুসা সে দেশের গোয়েন্দা বাহিনীর নজর দারিতে ছিল। আজ (শুক্রবার) তাকে গ্রেপ্তার করেছে সে দেশের পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মুসা ওমানে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে ওই দেশের সঙ্গে সার্বাক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে একটা বাধা, ওমানের সঙ্গে আমাদের আসামি দেওয়া-নেওয়ার চুক্তি না থাকায় আমরা পুলিশের একটি দল পাঠানোর বিষয়ে চিন্তা করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ফারজানা ইসলাম ডলি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মুসার ওমানে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনলাম। মুসা যখন গ্রেপ্তার হয়েছে তখন হয়ত স্বামী হত্যার বিচার পাবো। তবে এখনও সন্দিহান তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে।’
ডলি বলেন, ‘মুসা যেহেতু গ্রেপ্তার হয়েছে, তাতে আমি আশ্বস্ত হয়েছি বিচার পাবো।
রাজধানীর শাহজাহানপুর আমতলা এলাকায় গত ২৪ মার্চ রাতে মোটরসাইকেলে আসা এক দুর্বৃত্ত যানজটে আটকে পড়া টিপুর গাড়ির কাছে এসে তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান টিপু। ওই সময় টিপুর গাড়ির পাশে থাকা রিকশার আরোহী কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।