খবর৭১ঃ পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির নেতৃবৃন্দ দূরভিসন্ধিমূলকভাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তথাকথিত ‘হত্যার হুমকি’র বয়ান তৈরি করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিরোধীপক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ কোনোদিন করে নাই। দেশবাসী ভালোভাবেই জানে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না।
শুক্রবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ওই বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিএনপি। গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারার ব্যর্থতা বিএনপির এবং তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের। সেজন্য আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা পরাজিত সৈনিকের আত্মপ্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, গত চার দশকে বাংলাদেশের যা কিছু মহৎ অর্জন তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও এগিয়ে যাবে। কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার অগ্রগতির এই গতিধারা থামাতে পারবে না ইনশাল্লাহ্।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের একটি অনন্য মাইলফলক হলো নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। আজকে যারা রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা চালান এবং বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার পরিণতি দেখতে সুপ্ত বাসনা লালন ও ষড়যন্ত্র করেন তাদেরকে বলতে চাই, পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু না; এটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার স্মারক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই বিএনপি ও তার দোসররা এর বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা চক্রান্ত করে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। এরপরও শেখ হাসিনা দেশি অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তখন বেগম খালেদা জিয়াসহ একটি চিহ্নিত মহলের মন্তব্যগুলো ছিল কাণ্ডজ্ঞান বিবর্জিত ও দূরভিসন্ধিমূলক। এসব ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা শুধু সরকার বিরোধিতাই ছিল না বরং দেশদ্রোহিতার শামিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা মানেই এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হওয়া। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর একের পর এক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে চলেছে। রূপকল্প-২০২১ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। সামনে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ রয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হবে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনা ভিশনারি কর্মপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে শতবর্ষীয় ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ ঘোষণা করেছেন, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।