খবর৭১ঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে এই মামলায় চার্জগঠন শুনানির জন্য ১১ মে তারিখ ধার্য করেন আদালত।
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি সম্রাট। অন্য দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। এ মামলায় জামিন পেলে তার কারামুক্তির ক্ষেত্রে বাধা কাটত।
সম্রাটের পক্ষে আজ জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন না করেন। এর ফলে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে সম্রাটকে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এবং অস্ত্র মামলায় দ্বিতীয় অতিরিক্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালত থেকে জামিন পান। পর দিন মাদক মামলায় ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
ক্যাসিনোকাণ্ডে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে তার সহযোগী এহসানুল হক আরমানসহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর পর তার কাছে বিদেশি মদ পাওয়ায় সে সময় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। সেই সময় থেকে সম্রাট কারাগারে আছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন।