খবর৭১ঃ
রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় দিন শনিবার ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ান সেনারা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা।
খারকিভ আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ সিনেগুবভ বলেছেন, হালকা সামরিক যানগুলো শহরে প্রবেশ করেছে। খবর বিবিসির।
এখনই সে দেশের সম্পদের ক্ষতি সাধন করতে ফের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাল রাশিয়া। এবার তাদের নজরে গ্যাসের পাইপলাইন এবং তেলভাণ্ডার। সোমবার রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
খারকিভ শহরের গ্যাস পাইপলাইন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। খারকিভ শহরবাসীর জন্য পাইপলাইনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণের ফলে শহরে দূষণ ছড়াবে যার জেরে বহু প্রাণহানির শঙ্কা করা হচ্ছে। রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেনের তেলভাণ্ডারেও হামলা করেছে রুশ বাহিনী।
কিয়েভ ও খারকিভের রাস্তায় জোরদার যুদ্ধ চলছে। জোরদার প্রতিরোধ করছেন ইউক্রেন সেনারাও। চারদিন কেটে গেলেও ইউক্রেনে শান্তি ফেরার কোনো লক্ষণ নেই। এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের পদস্থ কর্মকর্তা ইরিনা ভেনেদিকতোভা জানিয়েছেন, রুশ সেনা এখনও খারকিভ দখল করতে পারেনি। জোরদার লড়াই চলছে।
এদিকে রুশ সেনাদের এ আগ্রাসন ঠেকাতে এবার ইউক্রেনের নারীরা নিজেদের রক্ষা করতে বিশেষ কৌশল নিয়েছেন।
মরোটভ ককটেল (পেট্রল বোমা) বানাচ্ছেন। শহরটিতে রাশিয়ান সৈন্যদের আগ্রাসন রুখে দিতে এবং রাস্তায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেট্রল বোমা বানাচ্ছেন তারা।
ইউক্রেনের ওই শহরটির নাম ডিনিপ্রো। জড়ো হয়ে ঘাসের ওপর বাড়িতে বসে নারীরা পেট্রল বোমা বানাচ্ছেন। তাদের মধ্যে শিক্ষক, আইনজীবী ও গৃহিণী রয়েছেন। তারা কাচের বোতল, ন্যাকড়া ও জ্বালানি তেল নিয়ে বসেছেন।
তারা বলছিলেন, তারা আসলে কী করছে সে ব্যাপারে খুব গভীরভাবে ভাবছেন না। কারণ এক নারী বলেছেন, এটি খুবই ভয়ঙ্কর।
তারা জানিয়েছেন, তারা যে কোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে চান। এই শহরটিতে এখনো আক্রমণ চালানো হয়নি। কিন্তু এটি ইতোমধ্যে যুদ্ধের মূল্য বুঝতে পারছে। শহরটির ৪০০ শয্যার সামরিক হাসপাতালের সব শয্যাই পুরো উত্তর ইউক্রেন থেকে আসা আহত সৈনিকে পরিপূর্ণ।