খবর৭১ঃ দেশে এক কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে আজ (শনিবার)। টিকা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন কিংবা কাগজপত্রের প্রয়োজন হচ্ছে না।
তবে এই কর্মসূচি বৃদ্ধি করা হবে কিনা তা সন্ধ্যায় জানা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
শনিবার সকালে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, শেষ মুহূর্তে বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে। প্রথম ডোজের জন্য এক কোটি টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি দেওয়া হবে আজ। বিরতিহীনভাবে আজ চলবে এই টিকা কার্যক্রম।
তিনি বলেন, প্রচুর মানুষ টিকা নিতে এসেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে। তবে আমাদের আশঙ্কা, আজ অনেকেই টিকা দিতে পারবে না।
সে ক্ষেত্রে সময় বাড়ানো হবে কিনা গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হলো টিকা দেওয়া। আমরা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যক্রম দেখি, তারপর যদি প্রয়োজন হয় আমরা সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করব।
জানা গেছে, দেশের ২৮ হাজার বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে আজ। এসব বুথে টিকা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত আছেন স্থাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকেরাসহ মোট এক লাখ ৪২ হাজার জন।
দেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের বাইরেও পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ দল রয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে ৩০ থেকে ৫০টি করে বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় ২০২১ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১০ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের মতো।
তাদের মধ্যে সাত কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ এবং ২৬ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।
এর মধ্যে গতবছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৭৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছিল একদিনে।