চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ২৬দিন পর কবরস্থান থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আবু হুরায়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত আড়াইটার দিকে তালতলা গ্রামের কবরস্থানের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ১৯ জানুয়ারি আবু হুরায়রা গ্রামের শিক্ষক রঞ্জুর কাছে বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। ২৬ জানুয়ারি আবু হুরায়রার পিতা বাদী হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক রঞ্জুসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে ২৯ জানুয়ারি অজ্ঞাতস্হান থেকে আবু হুরায়ার বাবার কাছে মুক্তিপণ বাবদ চিরকুট দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে আবার ১ ফেব্রুয়ারি চিরকুট দিয়ে মোবাইল ফোনে নাম্বার দেয়। এসএমএস দিয়ে পুনরায় চাঁদা দাবি। চিরকুট ও মোবাইল ফোন নাম্বার পুলিশকে দেয়া হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে।
এরই আলোকে রোববার তালতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোমিনকে আটক করলে হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়। মোমিনের স্বীকারোক্তিতে রাতে পুরাতন একটি কবর থেকে শিশু হুরায়রার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আবু হুরায়রা চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছিলো। তারা ৬ বোন ও ১ ভাই। এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাবা- মা পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান বলেন, মামলাটি লোমহর্ষক। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লুলেস এ ঘটনাটির মোটিভ উদঘাটন করা হয়েছে। মোমিন ছাড়াও আর কেউ হত্যাকান্ডে জড়িত আছে কিনা সেটা যাচাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আরো এক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।