খবর৭১ঃ
কক্সবাজারে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডেসপাস শাখায় ডেথ রেফারেন্সটি পৌঁছেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের দেড় বছর পর গত ৩১ জানুয়ারি রায় দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেল সোয়া চারটার দিকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত ও পুলিশের তিন সোর্সসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে এপিবিএনের তিন সদস্যসহ সাতজনকে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পুলিশের এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, রুবেল শর্মা, মোহাম্মদ আইয়াজ আয়াছ, সাগর দেব, নুরুল আমিন এবং নিজাম উদ্দিন।
খালাস পাওয়া সাতজন হলেন এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান আলী, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কনস্টেবল রাজিব হোসেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল ছাফানুল করিম, কনস্টেবল কামাল হোসাইন আজাদ কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। এই হত্যাকাণ্ড দেশব্যাপী আলেঅড়ন সৃষ্টি করে।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় টেকনাফের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীসহ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর দেড় বছর পর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।