ডিহাইড্রেশন হলে শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা দেবে

0
189

খবর৭১ঃ  শরীরে পানিশূন্যতা বা পানির স্বল্পতাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় ডিহাইড্রেশন। এটি হলো শরীরের পানিশূন্যতা বা পানির স্বল্পতার একটি অবস্থা। খুবই অল্প পরিমাণে পানি পান করলে ব্যক্তির শরীরে পানিশূন্যতা বা পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। এ ছাড়া ব্যায়াম, রোগ বা পরিবেশগত উচ্চ তাপমাত্রার কারণেও শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
আমাদের শরীরে ৭০ শতাংশ পানি। দেহে এই ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্কের ৩ লিটার পানি করা উচিত। এর চেয়ে কম পরিমাণে পানি পান করলেই শরীরে ড্রিহাইড্রেশন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পিরিমিত পানি পান করা ছাড়াও ডায়রিয়া, অতিরিক্ত সূর্যের তাপে থাকা, অতিরিক্ত শরীর চর্চা, প্রচুর পরিমাণে শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়ার কারণেও ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

শরীরে ড্রিহাইড্রেশন সমস্যা থাকলে আপনার মধ্যে বেশকিছু উপসর্গ দেখা দেবে। এগুলো হলো মাথাব্যথা, বারবার গলা ও মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বারবার পানি পিপাসা পাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, পেশিতে টান পড়া, চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া, চোখের দৃষ্টিগত সমস্যা দেখা দেওয়া, হজমে সমস্যা হওয়া, পরিপাক তন্ত্রের কাজ ব্যহত হওয়া ইত্যাদি।

এ ছাড়াও শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যাবে। ত্বকে দেখা দিবে ব্রনের সমস্যা। আপনার প্রসাবের পরিমাণ কমে যাবে। সেই সঙ্গে প্রসাবের রং হয়ে যাবে হলুদ। পানি আমাদের মুখের ব্যাকটেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু আপনি পানি কম খেতে শুরু করলে এই ব্যাকটেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণের অভাবে আপনার মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হবে।

শরীরে পানির অভাব হলে আপনি অল্পতেই ক্লান্তিবোধ করবেন। আপনার দেখা দেবে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা। এর ফলে আপনার হঠাৎ করেই হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাবে।

তাই ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে আমাদের সবারই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কেননা স্বল্প মাত্রার ডিহাইড্রেশন পানি পান করার মাধ্যমে ঠিক হয়ে গেলেও গুরুত্বর ডিহাইড্রেশনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here