খবর৭১ঃ বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচের ভিসা বাতিল নিয়ে আপিল শুনানির আগে তাকে আটক করে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।
মহামারীর মধ্যে টিকা না নেয়ায় এ সার্বিয়ানকে জনসাধারণের জন্য ‘হুমকি’ অ্যাখ্যায়িত করে অস্ট্রেলীয় সরকার দ্বিতীয় দফা তার ভিসা বাতিল করে দেয়ার পর বহিঃসমর্পণের মুখে পড়েন জোকোভিচ। তার আইনজীবীরা অস্ট্রেলিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে আপিল করে, আগামীকাল রোববার এই আপিলের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সূচি অনুযায়ী সোমবারই মেলবোর্নে জকোভিচের খেলার কথা। তবে এই শুনানিই ঠিক করবে জকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে মেলবোর্নে থাকতে পারবেন কিনা।
যদি আপিলে হেরে যায় তাহলে র্যাংকিংয়ে সবার উপরে থাকা এ পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়কে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হবে, পাশাপাশি তার জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হবে তিন বছরের ।
অনলাইনে বিচারিক প্রক্রিয়ার শুনানির পরপরই শনিবার জকোভিচের আইনজীবীরা জানান, এ টেনিস তারকাকে মেলবোর্নের অভিবাসী আটক কেন্দ্রেই রাত কাটাতে হবে।
শনিবার প্রকাশিত আদালতের নথিতে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী অ্যালেক্স হক জকোভিচের ভিসা বাতিলের পদক্ষেপ নেন। অভিবাসনমন্ত্রীর ভাষ্য, টিকা না নেয়ায় এই টেনিস খেলোয়াড়ের উপস্থিতি করোনা টিকার বিরোধিতা উসকে দিতে পারে।
এর আগে, গত ৬ জানুয়ারি জোকোভিচ মেলবোর্নের টুলামারিন বিমানবন্দরে নামার পর তাকে আটকে দেয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, টিকার শর্ত শিথিলের কোনো প্রমাণ জোকোভিচ দেখাতে পারেননি, সুতরাং ভিসা বাতিল করে তাকে ফেরত পাঠানো হবে। পরে বিমানবন্দর থেকে জোকেভিচকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি হোটেলে রাখা হয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে। ফেরত পাঠানো এড়াতে অস্ট্রেলিয়ার হাইকোর্টে আবেদন করেন জোকোভিচ।
অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত ১০ জানুয়ারি সেই আবেদনের শুনানি করে জোকোভিচকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেয়। ভিসা বাতিল করে তাকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আটক রাখার ‘যৌক্তিকতা খুঁজে পায়া যায়নি’ জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করারও অনুমতি দেয় আদালত। আদালতে জয় পেলেও জোকোভিচের পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ ছিল না, কারণ অভিবাসনমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ফের তার ভিসা বাতিলের সুযোগ ছিল। শুক্রকার সে কাজটিই করেছেন অ্যালেক্স হক।
দেশটির অভিবাসন আইন অনুযায়ী, ‘স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সামাজিক শৃঙ্খলার’ ক্ষেত্রে কাউকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন অভিবাসনমন্ত্রী।