মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর :
করোনা মহামারীর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে। বিধি নিষেধের প্রথম দিনে রাস্তাঘাটে, দোকান-পাটে, গণপরিবহন, টিকাদান কেন্দ্রে সরকারের নির্দেশনা মানার কোন বালাই ছিলো না। মানুষ আগের মত মাস্ক ছাড়াই অবাধে যাতায়াত করছে। কোথাও কেউ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছে না, মার্কেটে,স্কুল-শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্রে ও বাসটার্মিনালে গাদাগাদি অবস্থায় লোক সমাগম দেখা গেছে। খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্টে দেখা গেছে মানুষের ঢল, একে অপরে ঘেষাঘেষি করে খাবার খাচ্ছেন নির্বিঘ্নে। আজ শুক্রবারও সর্বত্র দেখা গেছে একই অবস্থা। বৃহস্পতিবার
সরেজমিনে শহরের মার্কেট, কাঁচাবাজার ও বাসটার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও সরকারের বিধি নিষেধ পালনের প্রভাব পড়েনি। মাস্ক ছাড়া পথচারী ,ক্রেতা- বিক্রেতা,বাসযাত্রী, টিকা গ্রহণ ইচ্ছুক বেশীর ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। শারীরিক দূরত্ব বলতে কিছুই ছিল না এসব স্থানে। অথচ নির্দেশনায় মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাজারে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান মাস্ক পরতে হবে এমন কোন ঘোষণা তারা শোনেননি। সৈয়দপুর পৌরসভার কমিউনিটি সেন্টারে দেখা যায়, সেন্টারে টিকা নিতে আসা স্কুল শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি ভীড়। স্বাস্থ্যবিধি বলতে কিছুই নেই। মার্কেটের এক দোকানীকে সরকারি নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে, সরকারি নির্দেশনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। করোনার উর্ধ্বগতি রুখতে নির্দেশনা মেনে চলা দরকার বলেও জানান তিনি। তবে এসব মানাতে সারাদিনে প্রশাসন, পুলিশ বা জনপ্রতিনিধিদের কোন তৎপরতা নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মাস্ক না পড়লে জরিমানা করা হবে ঘোষণা থাকলেও প্রশাসনের কোন ভূমিকা ছিলনা।