বছরের প্রথম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

0
405

খবর৭১ঃ  এবাদতের দুই ওভারের ঝলকে চতুর্থ দিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ। ক্যাচ মিস এবং বাজে রিভিউ নেয়ার ফলে একসময় যখন ভাবা হচ্ছিল ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে, তখনই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এবাদত হোসেন। চতুর্থ দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৭ রান, বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে আছে ১৭ রানে। পঞ্চম দিনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা।
এর আগে ডেভন কনওয়ে আউট হওয়ার পর পিচে মন্থর হয়ে ব্যাট করতে থাকে অভিজ্ঞ রস টেইলর এবং উইল ইয়াং। অর্ধশতক পূর্ণ করে ভালোই এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৬৯ রানে কাঁটা পরেন তিনি। টেইলরকে নিয়ে ইয়াংয়ের ৭৩ রানের জুটি ভাঙার পর অনেকটা ভেঙ্গে পরে কিউই দল। এখন দিন শেষের অপেক্ষায় স্বাগতিকরা।

এদিকে এবাদতের ২ ওভারে ৩ উইকেট নেয়ার পর ম্যাচে ফিরেছে টাইগাররা। এবাদতের প্রথম দুই উইকেট ৩ বলের বিনিময়ে নেয়ার পর এরপরের ওভারেই আরেকটি উইকেট নিয়ে কিউই ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন তিনি একাই।

এদিকে, দিনের শুরুতে দুইবার এলবিডব্লিউতে মেহেদী মিরাজকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নেয়ার কারণে মাঠ ছাড়তে হয়নি মিরাজকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। টিম সাউদির বাইরের একটি বলে খোঁচা মেরে কিপার টম ব্লানডেলের হাতে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেহেদি। এর পরে একে একে ইয়াসির আলী,তাসকিন এবং শরিফুলের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪৫৮ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।

এদিকে, কিউইদের বিপক্ষে তৃতীয় দিনটা ভালোই কাটছিল বাংলাদেশের। তবে শেষ সেশনে বোল্টের বোলিং তাণ্ডবে দুই সেট ব্যাটসম্যান মুমিনুল এবং লিটনকে হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে টাইগাররা।

বে ওভালে তৃতীয় দিনের শুরুর সেশনে মাহমুদুল হাসান এবং সাদমানকে হারালেও লিটন দাস এবং মুমিনুল হকের মন্থর ব্যাটিংয়ে ভালোই এগোতে থাকে বাংলাদেশ। তবে শতকের মাত্র ১২ রান আগে বোল্টের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুমিনুল। এর ২৯ বল পর আরেক সেট ব্যাটার লিটন দাস ফেরেন ৮৬ করে। তবুও দিন শেষে এগিয়ে রাখা যাবে বাংলাদেশকে। কারণ পিচটা তো নিউজিল্যান্ডের। আর কিউই বোলারদের দাঁতভাঙ্গা জবাবও দিয়েছে টাইগার ব্যাটাররা।

এর আগে তৃতীয় দিনের শুরুতেই তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান ব্যক্তিগত ৭৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরার পর অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন মুশি। শুরুটা ভালোও করেছিলেন। তবে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে মাত্র ১২ রান করে ফিরেছেন মুশফিক।
এরপর আগের দুই উইকেট পাওয়া সেই নিল ওয়াগনার আবারও উইকেট পান। যেন বাংলাদেশের আশার পালে বিষদাঁত ফুটিয়ে দেন বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলার। সাদমান ও শান্তর পর তার শিকার লাল-সবুজের আরেক ভরসার নাম মাহমুদুল হাসান জয়। ২২৮ বলে অনবদ্য ৭৮ রান করে হ্যানরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ তুর্কি।

আগের দিন ৭০ রানে অপরাজিত থাকার পর তৃতীয় দিনে কেবল ৮ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন জয়। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমেই অর্ধশতক হাঁকানোর পর প্রথম ও আরাধ্য সেই শতকের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন এই তরুণ টাইগার ব্যাটার। তবে ওয়াগনার সেটা হতে দেননি। তার বাউন্সারে শেষ পর্যন্ত জয়ের ইনিংসের ইতি ঘটে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here