খবর৭১ঃ ষাটোর্ধ্ব ও সম্মুখসারির ব্যক্তিদের পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে যাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি এবং যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। যাদের কোমরবিডিটি আছে, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে আছেন, তারা বুস্টার নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা হবে না।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে এক আলোচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম একথা জানান।
ওমিক্রন ধরনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বেড়ে চলার মধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সম্মুখসারিতে থাকা ব্যক্তিরা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। এই ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ছয় মাস পার হয়েছে তাদেরই তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যের ডিজি খুরশীদ আলম বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে যাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি তাদেরই বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে টিকা কার্ড নিয়ে টিকাকেন্দ্রে যেতে হবে। তাকে বলতে হবে যে তার শারীরিক অসুস্থতাতার রয়েছে। একটা লোকের ক্যান্সার আছে কিন্তু বয়স ৪০, তিনি কেন বাদ যাবেন? আমরা তাকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন করার সময়ে সব তথ্য নেওয়া হয়েছে। ফলে তা দেখেই নিশ্চিত হওয়া যাবে যে তার কোমরবিডিটি আছে কি না। আর কেউ যদি নিবন্ধনের সময় তথ্য না দিয়ে থাকেন, তাকে দেখাতে হবে যে, ক্যান্সারে আক্রান্ত। অনেক ধরনের কোমরবিডিটি আছে। আমরা চিন্তা করছি যে কোমরবিডিটিগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ- ক্যান্সার, অ্যান্টিক্যান্সার ড্রাগ খেয়েছে, রেডিয়েশন পেয়েছে, কেমোথেরাপি পেয়েছে, ইমিউনটি দুর্বল এ ধরনের মানুষগুলোকে আমরা প্রাধান্য দিতে চাচ্ছি।
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর গত রবিবার পর্যন্ত ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। আর কোভিড টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ পেয়েছে দ্বিতীয় ডোজ।
তবে টিকা নেওয়ার সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসায় তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন এই তৃতীয় ডোজ পেয়েছেন।