খবর৭১ঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও যৌথ বাহিনী তল্লাশি চালিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলমান আছে।
আগুনে দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৫ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অনেককে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিন তলা বিশিষ্ট লঞ্চটি পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়। পরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের দিয়াকুল এলাকায় নদীর তীরে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।
আগুন লাগার পরই প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন যাত্রীদের অনেকে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ট্রলার নিয়ে লঞ্চের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রাত ৩টা ২৮মিনিটে তারা অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। এরপর তাদের কর্মীরা ৩টা ৫০ মিনিটে সেখানে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিটের চেষ্টায় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। স্থানীয় বাসিন্দা, কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সদস্যরাও উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করেন।
এখন পর্যন্ত ৩৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন থেকে বাঁচতে যারা নদীতে লাফ দিয়েছিলেন তাদের অনেকে নিখোঁজ আছেন।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিনকক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।