রেদোয়ান হোসেন জনি, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
মিরসরাইয়ে ১০ দিন ব্যাপী ১১তম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজয় র্যালি, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা ওড়ানোর মাধ্যমে উপজেলার জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মেলার উদ্বোধন করা হয়।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান রুহেল।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহম্মদের সভাপতিত্বে ও সুভাষ সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, ৭ নং কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেলার মহাসচিব রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ূন, ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেলার প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিম মাস্টার।
এসময় মিরসরাই পৌরসভার মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জোরারগঞ্জ মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘স্বাধীণতার ৫০ বছরে এসে আজ আমরা এ বিজয়মেলার আয়োজন করতে পেরেছি তা কেবলমাত্র সম্ভব হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। আজ এ বিজয়মেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মঞ্চে আজ দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুত, অথচ বিগত সময়ে বিএনপি জামায়াত সেটা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন আমরা সবাই চাই, তবে সে উন্নয়ন হতে হবে টেকসই। উন্নয়নের পাশাপাশি, আমাদের পানি, কৃষি সহ যাবতীয় কাঠামো যাতে টিকে থাকে তার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। ইনশাআল্লাহ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের তত্বাবধানে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। বিশ্বের বুকে রোল মডেলে পরিণত হবে মিরসরাই।
প্রসঙ্গতঃ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধের উপর আলোচনা সভা, অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং বিভিন্ন পণ্যের ও খাবারের ১১০ টি স্টল, লাকী কুপন লটারির আয়োজন করা হয়েছে।