খবর৭১ঃ বেশ কয়েক বছর ধরেই ৩ সন্তানসহ সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির যুক্তরাষ্ট্রে থাকছেন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার ভয়াবহতাকালীন সময়েও সেখানেই অবস্থান করেছেন তারা। আর খেলার ফাঁকে বা ছুটি নিয়ে সাকিব চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। স্ত্রী-সন্তানদের সময় দেন।
নিজের পরিবারকে বাংলাদেশে না রেখে কেন যুক্তরাষ্ট্রে রাখছেন সে বিষয়ে জবাব দিয়েছেন বিশ্বসেরা অন্যতম অলরাউন্ডার।
মূলত বড় মেয়ে আলাইনার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিয়েছেন সাকিব।
বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে আলাইনা স্বছন্দবোধ করে বলে মনে হয় তার কাছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে অকপটের সাকিব স্বীকার করলেন সে কথা।
বললেন, ‘হ্যাঁ। আমি স্কুলের উদাহরণটা বারবার দিচ্ছি। কারণ আমি তো দেখেছি এখানে (বাংলাদেশ) স্কুলে যাওয়ার আগে ও (বড় মেয়ে অ্যালাইনা) ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন কাঁদত। ওখানে (যুক্তরাষ্ট্র) এক ডাক দেওয়ার আগেই নিজে উঠে চোখ বন্ধ করে নিজে ব্রাশ করে স্কুলের জন্য রেডি হয়ে যায়। এর থেকে ভালো কিছু আমার জন্য আর কী আছে? আর প্রতিদিন স্কুল থেকে আসার সময় যে খুশিমনে আসে, এগুলো তো আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। এটা আমি নষ্ট করতে চাই না। তাছাড়া ওর নিজেরও এখন বোঝার বয়স হয়েছে ও কী চায়, না চায়! এখন এখানে (বাংলাদেশ) আসলেও ওর ভালো লাগতে পারে। ও তো এখন একটা বয়স থেকে আরেকটা বয়সে যাচ্ছে। এই সময় বাচ্চাদের অনেক কিছু চেঞ্জ হয়। বাংলাদেশে এলে ও এখানে পছন্দও করতে পারে। কিন্তু আমি তো নিশ্চিত নই।
সাকিব আরো বলেন, ‘আমার কাছে ফ্যামিলি সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ। তার পরে বাকি সবকিছু। একটা সময় তো ওরা ঢাকাতেই ছিল। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর যখন আমি দেখি, আমার মেয়ে স্কুলে হাসিমুখে যাচ্ছে-আসছে, কত এনজয় করছে। এটা তো আমি আমার জন্য পরিবর্তন করতে পারি না। আমি নিজে ভালো থাকার জন্য স্বার্থপরের মতো ওর লাইফটা তো খারাপ করতে পারব না। আমার কষ্ট হচ্ছে, সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে আমার নিজের জন্য ওর লাইফটা চেঞ্জ করার অধিকার তো আমার নাই।’