খবর৭১ঃ কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছেন আরও ছয় শতাধিক রোহিঙ্গা।
গতকাল শুক্রবার সড়কপথে এসব রোহিঙ্গা নাগরিককে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতে সেখানে অবস্থানের পর শনিবার সকালে চট্টগ্রামের নেভাল ঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অষ্টম দফায় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ভাসানচরে যাচ্ছেন রোহিঙ্গাদের আরও একটি অংশ। এর আগে সাত দফায় ভাসানচরে যান সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা।
এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেজন্য গত ডিসেম্বর মাসের আগেই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। কাউকে জোরপূর্বক নয়, সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানানোর পর যারা স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হবেন তাদেরকেই সেখানে স্থানান্তর করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছরের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ গত ২৪ নভেম্বর সপ্তম দফায় ৩৭৯ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাত দফায় মোট ১৮ হাজার ৫৯১ জন রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়েছে ভাসানচরে। আজ অষ্টম দফায় ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে ছয় শতাধিক রোহিঙ্গাকে।
জানা গেছে, উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে গতকাল দুপুর একটার দিকে ৯টি বাস এবং বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ছয়টি বাস রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের নেভাল ঘাটে নেওয়া হয়।
কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত সাংবাদিকদের জানান, যারা স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হচ্ছেন তাদের জড়ো করে নির্ধারিত একটি দিনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
শাহ রেজওয়ান আরও বলেন, অষ্টম দফায় ছয় শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার পথে রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে ওঠার পর সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।