খবর৭১ঃ ইভ্যালির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মিথিলাকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এ সময় আরেক অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াও ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
রোববার মামলাটিতে আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এ দুই অভিনেত্রী।
জামিনের পর গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, আমি যখন ইভ্যালিতে যুক্ত হয়েছি, তার আগেই ইভ্যালিতে ৪০ লাখ গ্রাহক ছিল। তারা যেভাবে আস্থা রেখেছে, আমিও কিন্তু সেভাবেই আস্থা রেখেছিলাম।
জামিনের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, মহামান্য আদালত বলেছেন, যেই মামলাটি আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেটার ভিত্তিটা স্ট্রং নয়। সে কারণে আমাকে আগাম জামিন দিয়েছেন। আইনের প্রতি আমার আস্থা আছে। আমি আশা করছি যে, শিল্পীরা হয়রানির শিকার হবে না।
ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার সময় আরও সতর্ক হয়ে কাজ করবেন কি না এমন প্রশ্নে এই অভিনেত্রী বলেন, অবশ্যই সতর্ক হয়ে কাজ করবো। আমি বাংলাদেশের ১০০টির বেশি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে এ ধরনের একটা হয়রানিমূলক পরিস্থিতির জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না।
মিথিলা আরও বলেন, অসম্ভব হয়রানির ভেতর দিয়ে আমি যেটা শিখলাম আমাদের মিডিয়ার এসব ইস্যু ডিল করার জন্য সেভাবে কোনো এজেন্সি নেই, ম্যানেজার নেই, আমাদের ইনডিভিজুয়ালি ডিল করতে হয়।
ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নাকি ভুল ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, এই হয়রানির ভেতর দিয়ে যাওয়াটা আমি ডিজার্ভ করিনি।
প্রসঙ্গত, ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে হওয়া মামলায় অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গত ৪ ডিসেম্বর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক।
ওই মামলায় এসব তারকা যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন বলে গত শুক্রবার জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছিলেন। এরপরই আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।
মিথিলা ইভ্যালির সঙ্গে ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটিতে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দেন গত ১৫ মে। ওই দিন তাহসানসহ ইভ্যালির একটি বিশেষ লাইভেও অংশ নেন তিনি।