খবর৭১ঃ তৃতীয় ধাপে ৯৮৬ ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
৩৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম); বাকি ৯৫৩টিতে কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণ চলছে।
এ ধাপে এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ১০০ চেয়ারম্যানসহ ৫৬৯ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট পদগুলোয় ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ১৪টিতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতা জয় পেয়েছেন।
ইসির তথ্যানুযায়ী, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫০ হাজার ১৪৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৪ হাজার ৪০৯ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১১ হাজার ১০৫ ও সাধারণ সদস্য ৩৪ হাজার ৬৩২ জন। এতে ভোটকেন্দ্র ১০ হাজার ১৫৯ ও ভোটকক্ষ ৬১ হাজার ৮৩০টি। ভোটার রয়েছেন ২ কোটি ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৮ জন। এ ধাপে ভোটের আগেই জয় পেয়েছেন ৫৬৯ প্রার্থী। গত চার ধাপের মধ্যে এ ধাপেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেলেন। তাদের মধ্যে ১০০ জন চেয়ারম্যান রয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩২ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৭ জন রয়েছেন।
ইসি সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে শনিবার পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের পুলিশের একটি মোবাইল ফোর্স ও প্রতি তিন ইউনিয়ন পরিষদের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচন হচ্ছে এমন উপজেলাগুলোয় র্যা বের দুটি মোবাইল ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবির দুই প্লাটুন মোবাইল ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং এবং উপকূলীয় জেলাগুলোয় দুই প্লাটুন মোবাইল ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে। ভোটকেন্দ্রের পাহারায় থাকবেন পাঁচজন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য।
সূত্র জানায়, তৃতীয় ধাপে ৬২ জেলার ১২২ উপজেলায় আজ ভোট হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী ২১ জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জে ২৪ প্লাটুন, কক্সবাজারে ১২ প্লাটুন, চাঁদপুরে ১০ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর পরও অনেক জেলায় নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে ভোটারদের মধ্যে।
তৃতীয় ধাপের ভোট সুষ্ঠু হবে— এমন প্রত্যাশা করলেও সহিংসতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশা করে ভোট ভালো হবে। এ মুহূর্তে কোনো আশঙ্কা নেই। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ডোর টু ডোর, বাড়ি বাড়ি ও পাড়ায় পাড়ায় প্রতিযোগিতা হয়। যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আশা করি গ্রহণযোগ্য ভোট হবে।
ইসির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এ নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও দলটির অনেক প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন বলে নির্বাচন কমিশন মনে করছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীও মাঠে রয়েছেন। সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদেও বিপুলসংখ্যক প্রার্থী রয়েছেন। এসব প্রার্থীই তাদের নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে ভোটার নিয়ে আসছেন।