স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের নিঁখোজ রবিউল (১৮) নামের একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে হাড়বাড়িয়া থেকে ভাটার দিকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড এমভি ফারদিন-১ এর নিখোঁজ পাঁচ জনের মধ্যে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। ১৫ নভেম্বর রাতে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের এখনও দু’জন নিখোঁজ রয়েছে। গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে হাড়বাড়িয়ার ৯ নম্বর এ্যাকংর এলাকায় এ দুর্ঘটনাকালে বাল্কহেডটির দুইজন ষ্টাফ জীবিত উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
শুক্রবার উদ্ধার হওয়া মরদেহটি ওই বাল্কহেডের ষ্টাফ রবিউল ইসলামের (১৮)। তার বাড়ী পিরোজপুরের স্বরুপকাঠী এলাকায় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুকানি মহিউদ্দিন ও গ্রিজার নুর ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ ল লেবার এ্যাসোসিয়েশন মোংলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসান বাবুল বলেন, ঘটনার পর থেকে নিঁখোজদের পরিবার দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন তারা। এরপর পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন। তবে রবিউলের বাবা বল্কহেডের মাস্টার মো. মহিউদ্দীন (৬০) ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জিহাদ ওরফে জিসান এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া রবিউলের দুলাভাই নান্না মিয়া বলেন, ‘আমার শ্যালক রবিউল (১৮) ও শ্বশুর মহিউদ্দীন (৬০) ডুবে যাওয়া ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে চাকরি করতেন। হাড়বাড়িয়া এলাকা থেকে দক্ষিনে হিরণপয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে। জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ৯ নম্বর এ্যাংকরে থাকা বিদেশী জাহাজ এম,ভি এলিনাবি থেকে কয়লা বোঝাই করে ছেড়ে আসার পর বন্দর ত্যাগকরা অপর একটি বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাল্কহেডটি ডুবে যায়। বাল্কহেড এম.ভি ফারদিন ১ এর কয়ল বা অন্য পন্য পরিবহণের অনুমতি ছিলনা। বাল্কহেডটির ঢাকার মিরপুরের গাবতলীতে যাওয়ার কথা ছিল।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে বেচে ফেরা শ্রমিকরা মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।