খবর৭১ঃ শীতকালে বহু পুরোনো ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। ছোটখাট ব্যথা পেলেও সহজে দূর হয় না। এ সময় সায়াটিকার ব্যথাও বাড়ে।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ব্যথা বাড়া বা কমার সম্পর্ক আছে। এই ঋতুতে শরীরের রক্ত চলাচল কম হয়। এ কারণে মাংসপেশী ও নার্ভ শক্ত হতে পারে। এ সময় কোমরের ও পায়ের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে থাকে।
শরৎকালে কোমর বা অন্যান্য জয়েন্টের মাংসপেশীতে ক্র্যাম্প বা টান বেশি লাগে। এতে মেরুদণ্ডের মাংসপেশী ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে মেরুদণ্ডের ডিস্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ডিস্ক প্রলাপ্স হয় এবং ব্যথা পায়ে চলে যায় এবং সায়াটিকার উৎপত্তি হয়।
সায়াটিকা কেন হয় তার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানুয়াল অ্যান্ড থেরাপির কন্সালটেন্ট ডা. মো. শাহাদৎ হোসেন।
সায়াটিকার ব্যথা কেন হয়
* মেরুদণ্ডের হাড় সরে (স্পনডাইলোলিসথিসিস) গিয়ে যদি সায়াটিক নার্ভে চাপ দেয়।
* পাইরিফরমিস মাংসপেশী শক্ত হয়ে গেলে।
* কোমরের হাড় ক্ষয় বা বেড়ে যাওয়া
* ডিস্ক প্রলাপ্সের কারণে কোমর থেকে জেলি বের হয়ে নার্ভের ওপর চাপ দিলে।
* গর্ভাবস্থায় সায়াটিকার ব্যথা হতে পারে।
* মেরুদণ্ডের নার্ভ চলাচলের রাস্তা সরু হলে।
* আঘাতজনিত কারণে সায়াটিক নার্ভের ব্যথা হতে পারে।
সায়াটিকার ব্যথা বুঝবেন কীভাবে
* পা ঝিনঝিন, জ্বালাপোড়া, ভারি এবং অবস ভাব হলে
* ব্যথা কোমর থেকে নিচের দিকে গেলে।
* বেশিরভাগ সময়ে হাঁটতে গেলে ব্যথা বেড়ে যায়। তবে রাতে ঘুমে অথবা বসে থাকলেও সায়াটিকার ব্যথা হতে পারে।
* শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠলে সায়াটিকার ব্যথা বেশি হয় এবং কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করলে কমে যায়।
* পা দুর্বল লাগা সায়াটিকার সতর্ক সংকেত।
* কাশি দিয়ে কোমর বা পায়ে চিলকানো ব্যথা হতে পারে। পায়ে টান লাগতে পারে।
* ব্যথা বাড়তে পারে- শরীরের অতিরিক্ত ওজন, হাই হিল অথবা উঁচু জুতা পরলে, অতিরিক্ত নরম বিছানা ব্যবহার করলে।
করণীয়
* বাইরে বের হওয়ার আগে মাংসপেশী অথবা জয়েন্টের স্ট্রেচিং করতে হবে।
* অতিরিক্ত চাপ দিয়ে হঠাৎ কাজ না করা। এতে পায়ের শিন শিন ব্যথা বা ঝিন ঝিন ভাব হতে পারে।
* পায়ে মোজাসহ সঠিক শীতের পোশাক পরতে হবে। যাতে শরীর এবং পা স্বাভাবিক গরম থাকে। এতে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হয়।
* তোষকের বিছানা ব্যবহার করা।
* রোজ কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা।
* শরীরের ওজন সঠিক রাখা এবং পায়ের ব্যথা অবস্থায় বেশি হাঁটাহাঁটি না করা।
তোষকের বিছানা ব্যবহার করা।
* রোজ কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা।
* শরীরের ওজন সঠিক রাখা এবং পায়ের ব্যথা অবস্থায় বেশি হাঁটাহাঁটি না করা।
* পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, বেশি করে শীতের সবজি খাওয়া, নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা, তবে ব্যায়ামের ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন যাতে সায়াটিকার ব্যথা বৃদ্ধি না পায়।
চিকিৎসা
নিন্মলিখিত চিকিৎসা সায়াটিকার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নিতে হবে
* ম্যানুয়াল থেরাপি
* ম্যানুপুলেশন থেরাপি
* মেডিসিন বা অপারেশন