সৈয়দপুর প্রতিনিধি :
কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল মন্তব্য এবং পর্ণছবিতে বাদিনীর চেহারার ছবি বসিয়ে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠানোর অভিযোগে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে মো. শরিফুজ্জামান সাহেদ খান ওরফে লোহানী বাবুকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪ এর একটি বিশেষ অভিযানিক দল। গত সোমবার দুপুরে ঢাকার খিলক্ষেত ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পাশে যাত্রী ছাউনি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ মতে, সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ী মহল্লার জনৈক বৃদ্ধের মেয়ে ২০১৭ সাল থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনারের অধীনে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমে প্রজেক্ট কর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে একই জেলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে একই অফিসে কর্মরত পরিচয় হয় ধৃত ওই যুবকের সঙ্গে। পরবর্তীতে প্রেমের প্রস্তাব এবং গায়ে হাত দিলে বাদিনী বিষয়টি ধৃতের বড় ভাই একই অফিসে কর্মরত মো. শাহরিয়ার রহমান খান শান্তকে জানান। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত না করে উল্টো ছোট ভাইকে প্রশ্রয় দেয়। এতে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল মন্তব্য এবং পর্ণছবিতে বাদিনীর চেহারার ছবি বসিয়ে বাদিনীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়া হয়। এ ব্যাপারে অসহায় ওই নারী গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ পল্লবী থানায় জিডি এবং একইদিন র্যাব-৪,মিরপুর -১ এ অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর র্যাব বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়াতদন্ত চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। ফলে গত সোমবার দুপুরে র্যাব-৪ এর অভিযানিক দলের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে ঢাকার খিলক্ষেত ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পাশে যাত্রী ছাউনি থেকে গ্রেফতার করে। ধৃত শরিফুজ্জামান সাহেদ খান ওরফে লোহানি বাবু র্যাবের কাছে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। মামলার অপর আসামী ধৃতের বড় ভাই শাহরিয়ার রহমান খান শান্ত পলাতক রয়েছেন। ডিএমপি পল্লবী থানার সাব-ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, ধৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এবং পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।