আব্দুল আওয়াল, মদন থেকেঃ নেত্রকোনার মদনে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) অপহরণ মামলায় সুমন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মদন থানা পুলিশ। ভিকটিমের বাবা মঙ্গলবার রাতে সুমন মিয়াকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার দুপুরে সুমন মিয়াকে নেত্রকোনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওইদিন স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়াকে মঙ্গলবার তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে পুলিশ। সুমন মিয়া উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহের উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২১ অক্টোবর স্কুল ছাত্রীটি তার মায়ের সাথে প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে উৎপেতে থাকা লম্পট সুমন মিয়া মুখে চাপ দিয়ে মায়ের সামনেই তুলে নিয়ে যায়। বাবা রাতের অন্ধকারে এদিক ওদিক খোঁজাখুজি করলেও কিশোরীকে কোথাও পায়নি। ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা ২২ অক্টোবর থানায় লিখিত
অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় মাতবররা একাধিক সালিশ বৈঠক করে সোমবার ২৫ অক্টোবর অভিযুক্ত সুমন মিয়ার কাছ থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। তবে বিষয়টি বাবা না মেনে ০২ নভেম্বর সুমন মিয়াকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিকটিমের বাবা বলেন, আমার মেয়েকে সুমন মিয়া রাতে মায়ের সামনেই মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। আমি ২২ অক্টোবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তবে এলাকার মাতাব্বররা মিমাংসা করেছিল। আমি তা মেনে নেই নি।
আমার মেয়ের যে সর্বনাশ হয়েছে, তা আমি কোনদিন ফিরে পাব না। আমি আইনী প্রক্রিয়ায় যাব। আমি চাই ওর শাস্তি হোক। আমার মেয়েকে অপহরণের আগে সে আরও একটি মেয়ে বিয়ে করবে বলে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এর আগে সে আরও বিয়ে করেছে। কিভাবে আমি মাতাব্বরদের কথা মেনে নেই।
ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ভিকটিমের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে। তাকে বুধবার নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা
আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।