খবর৭১ঃ কোনো মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি যেদিন গ্রেপ্তার হবেন সেদিন থেকে সাজার রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত যতদিন কারাগারে থাকবেন তা মোট সাজা থেকে বাদ যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য বলে আদেশে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল একক বেঞ্চ সোমবার এ মতামত দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ।
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ইউনুছ আলী নামে এক আসামিকে বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। পরে সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ইউনুছ আলীর আইনজীবী আদালতকে জানান, এরই মধ্যে ইউনুছ আলী ২৬ বছর হাজত খেটেছেন।
সিআরপিসির ৩৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, বিচার চলাকালে আসামি যতদিন হাজতে থাকবে, সেই সময় মূল সাজা থেকে বাদ যাবে। এক্ষেত্রে ইউনুছ আলীর রায়ে ৩৫ (ক) ধারা উল্লেখ করা ছিল না। পরে হাইকোর্ট আতাউর রহমান মৃধার রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩৫ (ক) ধারার সুযোগটা আসামিরা পাবেন। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ আজ বলেছেন, হাজতবাস কারাদণ্ড ভোগের সময় থেকে বাদ যাবে। আদালত আসামি ইউনুছ আলী হাজতকালীন ও কারাদণ্ড ভোগের সময় যোগ করে যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।