খবর৭১ঃ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ ১১৬টি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনও মুখোমুখি হয়নি ইংলিশদের। বলাই বাহুল্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব কটি আসরের একটিতেও হয়নি তাদের দেখা। তবে আজ প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ এবং ক্রিকেটের এই সংস্করণে দেখা হতে যাচ্ছে দুদলের।
মূলপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এদিন বিকাল ৪টায় আবুধাবিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবেন রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম লড়াইয়ে জিততে মুখিয়ে আছে টাইগাররা। অন্যদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দারুণ ছন্দে আছে ইংলিশরা। ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস ও জিটিভি।
টাইগার দলে আলোচিত ব্যাটার লিটন কুমার দাসকেই দেখা যেতে পারে ম্যাচ ওপেনিংয়ে। তবে পিঠের চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া সাইফ উদ্দিনের বদলি হিসেবে দলে ফিরতে পারেন পেসার তাসকিন আহমেদ। বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোটের কারণে ইংলিশদের দলে না থাকা মার্ক উড ফিরছেন এ ম্যাচে। অতিরিক্ত পেসার না খেলালে ইংলিশদের দলের তিনে দেখা যেতে পারে ডেভিড মালানকে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সফরটি বাতিল করা হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুখোমুখি না হলেও ওয়ানডেতে বেশ কিছু স্মৃতি রয়েছে টাইগারদের। ২০১৫ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য কোয়াটার ফাইনালে ওঠার দিনে ইংলিশদের বিদায় করেছিল বাংলাদেশ। পরে ইংলিশদের ডেরায় অবশ্য অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন টাইগাররা। ইংলিশরাও এখন খেলছেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট।
তবে বর্তমান দল নিয়ে ইংল্যান্ডকে ভয় পাচ্ছে না লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। টাইগারদের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বলেন, ‘আমরা যদি তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই এবং শেষ পর্যন্ত খেলাটি জিততে চাই তবে আমাদের সেরা খেলাটা থাকতে হবে। আমরা জানি যে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ খুব শক্তিশালী। তাদের বিপক্ষে মূল চাবিকাঠি হলো নিখুঁত বোলিং করে নিজেদেরকে রক্ষা করা। আমরা জানি তারা শক্তপোক্তভাবে লড়াই জমাবে কিন্তু তারা আপনাকে সুযোগও দেবে।’
একসময় ইংল্যান্ডের পেস বোলিং কোচ থাকা ওটিস গিবসন এখন বাংলাদেশেও একই দায়িত্ব পালন করছেন। সাবেক ক্যারিবিয়ান এই পেসার আশা দেখাচ্ছেন দলকে। তার মতে, ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেটের মাঝেই আসবে সুযোগ, ঠাণ্ডা মাথায় সেটা লুফে নিতে হবে। তাহলেই মিলবে সাফল্য।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান (উইকেট কিপার), আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), জেসন রয়, জশ বাটলার, ডেভিড মালান, জনি বেয়ারস্টো, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, টাইমাল মিলস/মার্ক উড।