খবর৭১ঃ আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। আর এসব খাবারই আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে অঙ্গগুলোকে কাজ করতে সহায়তা করে। কিন্তু আপনি জানেন কি যে, আমরা প্রতিনিয়ত যেসব সাধারণ খাবার খাই তার মধ্যেও কিছু বিষাক্ত থাকতে পারে?
এ বিষয়টি অনেকেই জানেন না। আর তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আজকে জেনে নিন এমন কিছু সাধারণ খাবার সম্পর্কে যেগুলোর অংশ হতে পারে বিষাক্ত—
১. আপেল বীজ
আমরা প্রায়ই আপেল খেয়ে থাকি আর ভুল করে অনেকে আপেলের বীজও খেয়ে ফেলেন। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আপেলের বীজে সায়ানাইড থাকে, যেটি বিষাক্ত। এমনকি অল্প মাত্রায় সায়ানাইডও আপনার দ্রুত শ্বাস বন্ধ হয়ে, খিঁচুনি হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তবে ভালো খবর এই যে, আপেলের বীজে একটি প্রতিরক্ষামূলক আবরণ থাকে, যা সায়ানাইডকে আপনার সিস্টেমে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখে। তাই এটি থেকে সাবধান হওয়াই ভালো।
২. জয়ফল
অনেকেই রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে নিতে জয়ফলকে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটি ব্যবহারে আপনার সাবধান হওয়া উচিত। কারণ এটি বিষাক্ত হতে পারে। জয়ফলে থাকা মিরিস্টিসিন আপনার শরীরে সরাসরি গেলে তা বিষাক্ত হিসেবে কাজ করতে পারে এবং আপনার হ্যালুসিনেশন, তন্দ্রা, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি এবং খিঁচুনির মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. সবুজ আলু
আলুতে গাছ ও কান্ডে গ্লাইকোলক্যালয়েড নামে একটি বিষাক্ত পদার্থ থাকে। আর এ পদার্থটি আলুতে বেশি মাত্রায় থাকার কারণে তা সবুজ দেখায়। এ কম সবুজ আলু বা উচ্চ গ্লাইকোলক্যালয়েডযুক্ত আলু খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, বিভ্রান্তি, মাথাব্যথা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
৪. তেতো কাঠবাদাম
অনেক সময় আলমন্ড বা কাঠবাদাম বেশি তেতো মনে হতে পারে। আর এটি হয় সেই বাদামে বেশি পরিমাণে সায়ানাইড থাকার কারণে। আর এ ধরনের বাদাম খেলে তা ক্র্যাম্প, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া সমস্যা ঘটাতে পারে।
৫. কামরাঙ্গা
যদি আপনার কিডনির সমস্যা থাকে আপনার জন্য পুরোপুরি বিষ হিসেবে কাজ করতে পারে কামরাঙ্গা। কারণ সাধারণ কিডনি এ ফলের টক্সিন ফিল্টার করতে পারে না। তাই এর বিষ কিডনির চারপাশে আটকে থাকে ও মানসিক বিভ্রান্তি, খিঁচুনি এবং মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে।
৬. কাঁচা কাজু
কাঁচা কাজুর শাঁসে উরুশিওল নামের একটি বিষাক্ত উপাদান থাকে। তাই দোকানে যেসব কাজু কাঁচা অবস্থাতে পাওয়া যায় তার আবরনেও এ পদার্থটি লেগে থাকতে পারে। আর এ উপাদানটি আপনার অন্ত্রে সরাসরি গেলে তা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।