খবর৭১ঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সিটিজেন হতে সহায়তা করা এবং তাঁদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, আজ অক্টোবর ১৪, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সাথে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ শিক্ষা নিয়ে একটি ফলপ্রসূ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশজন দক্ষ শিক্ষক যারা তরুণদের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। কর্মশালাটি পরিচালনা করার দায়িত্ব পালন করেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এজাজ-উর-রহমান এবং ডিনেটের পক্ষ থেকে নিয়াজ ইসলাম আরিফ। কর্মশালাতে আরও বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক লিজা শারমীন।
কর্মশালাতে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সচেতনতা, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সাথে স্বাধীন মত প্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার এবং এ সংক্রান্ত আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সবশেষে শিক্ষকরা এই উদ্যোগকে সফল করতে ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিটিজেন শিক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যক্তিগতভাবে নানাবিধ অঙ্গীকার করেন।
কর্মশালাতে সহযোগী অধ্যাপক লিজা শারমীন বলেন-
শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সিটিজেনশিপ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা এখন অত্যাবশ্যক হয়ে গিয়েছে। সচেতন শিক্ষক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা, তাঁদের সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করা।
পাশাপাশি প্রকল্পের অংশ হিসেবে ডিনেট, ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা ও রাজশাহী জেলার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ শিক্ষা বিষয়ক লার্নিং ও পিয়ার লার্নিং-এর ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিতভাবে এই কার্যক্রম চলবে আগামী কয়েক মাস জুড়ে। এসকল কার্যক্রমের সাথেই চলবে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ চ্যালেঞ্জ, ২০২২। শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/-এ। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তাঁরা জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় বিভিন্ন পুরস্কার। এই শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।