সৈয়দপুর প্রতিনিধি :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন নাদিম (৩০) ১৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে। আজ সোমবার সকালে তাকে শহরের বাঁশবাড়ী এলাকার বাসা থেকে আটক করে জেলা নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরে তাঁকে সৈয়দপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এব্যাপারে থানায় একটি একটি মামলা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সুত্র জানায়, বাঁশবাড়ী এলাকার বাসিন্দা পৌর ইমরান নাদিম মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে তারা বিভিন্ন সুত্র থেকে জানতে পারে। এনিয়ে নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অদিদপ্তরের সদস্যরা ব্যবসায়ী নাদিমের ব্যবসার বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। এতে সংস্থাটি তার মাদকের ব্যবসার বিষয়ে সত্যতা পায়। পরে মাদকসহ তাঁকে আটক করতে নিয়োগ করা হয় সোর্স। পরবর্তীতে সোর্সের দেয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. আশরাফুল হকের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি দল আজ সোমবার ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় নাদিমের বাসা থেকে ১৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে নীলফামারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. আশরাফুল হক বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা ও আসামি নাদিমকে পুলিশে সোপর্দ করেন। থানা পুলিশ বিকেলে তাকে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করে।
নীলফামারী জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক খবির আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাসায় তল্লাসী চালিয়ে খাটের নিচ থেকে ওইসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত জানিয়ে তিনি বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক সংগ্রহে রাখার কথা স্বীকার করেছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার ইমরান নাদিমকে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য নাদিম কয়েক বছর আগে প্রভাব খাটিয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগ পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন। তখন থেকে পদের অপব্যবহার করে আসছিল।
জানতে চাইলে পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মহসিন মন্ডল মিঠু বলেন তার অপকর্মের দায় দল কখনই নেবে না। খুব শিগগির নাদিমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে সৈয়দপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক নাদিম ইয়াবাসহ গ্রেফতারের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।