ইবি প্রতিনিধি: প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে শনিবার আসে। কিন্তু আজকের সকালটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসিন্দাদের জন্য একটু অন্যরকম। ইতিহাসের সুদীর্ঘ তম ছুটি শেষে আজ হলে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা। বলা যেতে পারে এ উপলক্ষে চারিদিকে ঈদের আমেজ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি হলেই মাস্ক, ফুল ও চকলেট দ্বারা বরণ করে নেওয়া হয় তাদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহ খোলার জন্য প্রশাসনের নানা ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি নেয়। এর হল সমূহের জরুরি সংষ্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, আমাদের বাজেট অনেক দেরিতে এসেছে। তবে আমরা জরুরি ভিত্তিতে পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা গুলোর সমাধান করা হয়েছে। বাকি কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সকাল সাড়ে দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন সহ অন্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পরিদর্শনে যান। এসময় শিক্ষার্থীদের ফুল চকলেট, মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়ে বরণ করে নেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের।
হল প্রশাসনের এমন বরণে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। অর্থনিতী বিভাগ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা শিক্ষার্থী সানজিদা সোহানা বলেন, দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভালো লাগছে। প্রশাসনের আন্তরিকতার কমতি ছিলো না। ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্টদের।
কয়েকটি আবাসিক হলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে হলে ঢুকছেন। ভ্যানে করে সঙ্গে নিয়ে আসছেন বই, তোষকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকতার বৈধ পরিচয়পত্র আছে কি না, তা যাচাই করে দেখছেন। মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা।
কয়েকটি হলে বসানো হয়েছে হাত ধোঁয়ার বেসিন। হলের দেয়ালগুলো চুনকাম ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলগুলোতে গণরুম বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক তাকে চিকিৎসাসেবা দিতে কয়েকটি হলে আইসলোশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আজ আমার বাগানটা পরিপূর্ণ হলো। এত দিন ফুল ছাড়া শুধু বাগান ছিল। শিক্ষার্থীদের পেয় আজ আমার দায়িত্বের পরিপূর্নতা অনূভব করছি। আমি অনুরোধ করব শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে।