খবর৭১ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশজুড়ে করোনার বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। কর্মসূচির একদিন আগে গণটিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনার বিষয়ে কথা বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে জানাতে সোমবার ফেসবুক লাইভে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি। সেখানে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশের সব কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এ টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশ্বে যখন করোনা মহামারি শুরু হলো, যখন অনেক দেশই টিকার অনুমোদন দেয়নি, তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাদেরকে টিকা সংগ্রহের জন্য অনুমতি দিয়ে রেখেছিলেন। এটা তাঁর দূরদর্শিতার পরিচয়।
টিকাদান কর্মসূচির বিস্তারিত জানাতে গিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, আগামীকাল যে গণটিকাদান কর্মসূচি সারা দেশে পরিচালিত হবে সেখানে আমরা শুধু প্রথম ডোজের টিকা দেবো এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেবো। আর এজন্য প্রয়োজনীয় সব মালামাল সারাদেশে সরবরাহ করেছি, সে কাজ চলছে। ক্যাম্পেইন শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকাদান চলমান থাকবে। শেষ টিকা প্রদানের পর আমাদের টিম এক ঘণ্টা অবস্থান করবে। স্থানীয়ভাবে টিকাদানের সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। কোনোভাবেই আমাদের ইপিআই সেশনের টিকা দেওয়া বন্ধ রাখা যাবে না।
স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এই টিকার আওতায় আসবেন না জানিয়ে আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, কাল বিশেষ ক্যাম্পেইনে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের যেকোনো একটি ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্র থাকবে। পৌরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথে টিকা দেওয়া হবে। স্থানীয়ভাবে বুথ কমানো–বাড়ানো যাবে।
এই ক্যাম্পেইনে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী ২৫ বছর বয়সী বা তদূর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে আগে থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, চল্লিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেবো এখানে। সঙ্গে বয়স্ক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আমরা বিবেচনায় রাখবো। স্তন্যদানকারী মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনবো না। ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।
উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে কোনও একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সারা দেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছিল সেগুলো অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম চলাকালে সরকারের নিয়মিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে জানান তিনি।
খুরশীদ আলম বলেন, বয়স্ক যারা আসবেন টিকা নিতে তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেককে টিকা নেওয়ার পর অবশ্যই ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।