খবর৭১ঃ
গত আগস্টে নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে স্বামীর পদবি মুছে ফেলেন সামান্থা। এর পর থেকে এই দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন আরও দৃঢ় হয়।
গুঞ্জন যেন সত্যিতে রূপ না নেয়, সেটিই প্রার্থনা ছিল এ দুই তারকার ভক্ত-অনুরাগীদের। কারণ সাত বছর চুটিয়ে প্রেমের পরিণতি যে বিয়ে, তার বিচ্ছেদ মানতে নারাজ অনেকেই। কিউট কাপল হিসেবে দক্ষিণ ভারতে তাদের পরিচিতি রয়েছে।
কেন ভাঙছে সামান্থা ও চৈতন্যের সংসার? সে প্রশ্নে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এ দুই তারকার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, রুপালি পর্দায় সামান্থা যেভাবে হাজির হন তা মোটেও পছন্দ করছিলেন না স্বামী নাগা চৈতন্য ও তার বাবা নাগার্জুনা আক্কিনেনি। বেশ কিছু স্ক্রিনে সামান্থা খোলামেলা রূপে হাজির হয়েছেন বলে অভিযোগ চেতন্য পরিবারের।
‘ফ্যামেলিম্যান-টু’ ওয়েব সিরিজে খোলামেলা ও সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামান্থা, যা আক্কিনেনি পরিবার একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি।
তবে বিষয়টি মানতে নারাজ সামান্থা। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বাকবিতণ্ডা হয়েছে স্বামী চৈতন্যের সঙ্গে। অবধারিতভাবেই দুজনের সম্পর্কে বড় রকমের ফাটল ধরেছে।
প্রসঙ্গত দক্ষিণী মেগাস্টার নাগার্জুনার পুত্র নাগা চৈতন্য। ২০০৯ সালে ‘জোশ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তিনি সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন। অন্যদিকে সামান্থার ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১০ সালের ‘ইয়ে মায়া চেসাভ’ সিনেমা দিয়ে। যেখানে তার নায়ক ছিলেন চৈতন্য। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই তাদের মধ্যে ভালোলাগা ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
বিবাহবিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন দক্ষিণ ভারতীয় দুই তারকা নাগা চৈতন্য ও সামান্থা আক্কিনেনি। কাউন্সেলিং করেও তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। দুজনেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে অনড়।
এরই মধ্যে ডিভোর্সের আবেদন করেছেন দুজনই। আর এই বিচ্ছেদের পর চৈতন্যের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের খোরপোশ পাচ্ছেন সামান্থা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর— বিয়ের খরচের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি খোরপোশ পাবেন সামান্থা। ২০১৭ সালে ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ায় ধুমধামে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করেছিলেন এ দুই তারকা। সেই জমকালো আয়োজনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১০ কোটি রুপি। সে অর্থে বিচ্ছেদের খোরপোশ বাবদ অন্তত ৫০ কোটি রুপি পাবেন এ নায়িকা।
ভারতের শোবিজের গুঞ্জন— আগামী ৭ অক্টোবর বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেবেন সামান্থা ও চৈতন্য। কারণ চার বছর আগে এই দিনেই একে অপরের জীবনসঙ্গী হয়েছিলেন তারা। অর্থাৎ ডিভোর্সের জন্য বিয়ের দিনকেই বেছে নিতে চাইছেন তারা।
যদিও বিচ্ছেদ ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত সামান্থা বা চৈতন্যের মুখে সরাসরি কিছুই শোনা যায়নি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে তেমন কোনো তথ্যও দেননি তারা। তবে একে অপরের থেকে যে বেশ দূরে সরে গেছেন তা নিশ্চিত।
গত তিন মাস ধরে এমন খবরই বাতাসে ভাসছে।