খবর৭১ঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ১৪তম সভাপতি হিসেবে ২০১২ সাল থেকে একই পদে বহাল রয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। সম্প্রতি বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে জানিয়েছিলেন, শারীরিক সুস্থতার কারণে সভাপতি পদ থেকে দূরে থাকতে চান তিনি। এবার তিনি চাইছেন তার পদ নতুন কোনো মুখ দেখতে। একই সঙ্গে নতুন বোর্ড প্রধানকে পুরোপুরি সমর্থন জানাবেন বলেও জানান বর্তমান বোর্ড প্রধান।
আজ মঙ্গলবার ১২তম বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের পাপন বলেন, ‘সভাপতি পদের কথা আসলে- আর কেউ নাম বলে না। কেন বলে না আমি জানি না। আমি বলছি না আমি সফল হবো কিন্তু আমি চেষ্টা করব এবং চাইবো যে নতুন কেউ আসুক। নতুন কেউ আসলে খুশি হবো। আমি পুরোপুরি সমর্থন দেবো কোন অসুবিধা নেই।’
চলতি মাসেই পাপনের দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের শেষে হতে পারে এবারের নির্বাচন। গত দুই মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড প্রধান হওয়া পাপন এবার আগ্রহী নন নির্বাচন করতে। এমনকি এবার তিনি নেননি আলাদা কোনো প্যানেল। তিনি জানান, বিসিবিতে থাকা কর্মকর্তারা সবাই পরিচালক হতে চাইলেও কেউ সভাপতি হতে চান না। বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি বর্তমান বোর্ড প্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমি যদি এখানে থাকি, আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে যে আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এই পদটা নিতে চাইবে না। এটা একটা ভুল জিনিস! আমি এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি না। আমি চাই আমার বোর্ডে যারাই আসুক তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক। ‘আমি সভাপতি হতে চাই’- অন্তত বলুক, এখন তো কেউ বলেও না। এটা ভালো দিক না।’
যদিও এখনো পর্যন্ত অন্য কোনো প্রার্থীর নাম সামনে আসেনি, তবুও পাপনের চাওয়া এবার নতুন কেউ আসুক। তিনি বলেন, ‘যেই আসুক আমি তাদের পূর্ণ সমর্থন দেবো। আমরা যদি হেরেও যাই নতুন যারা আসবে তাদের সমর্থন দেবো। আমাকে যখন যা বলবে তখন তাই করবো। এটা কিন্তু ঠিক না যে এক রকমভাবে চলছে চলবেই। আর কারও ইচ্ছে থাকবে না থাকলে বলবেও না। এই জিনিসটা মনে হয় ঠিক না।’
সবাই-ই পরিচালক হতে চায় জানিয়ে বিসিবি বস বলেন, ‘কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত নতুন যারা দায়িত্ব নেবে। এটার জন্য আমি চাচ্ছি লিডারশিপ তৈরি করা উচিত। বাংলাদেশে লিডারশিপের অভাব নেই। কি কারণে যেন কেউ আসতে চায় না। সবাই পরিচালক হতে চায়। এমন কেউ নেই যে পরিচালক হতে চায় না