খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের নতুন আরও একটি ভয়ঙ্কর ধরন শনাক্ত হয়েছে। সি.১.২ নামের এই ধরন এখন পর্যন্ত পাওয়া করোনাভাইরাসের সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তিত ধরন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এটি টিকার সুরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতেও সক্ষম বলে জানিয়েছেন তারা।
নতুন ধরনের বিষয়ে গবেষণা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস এবং কোয়াজুলু- নাটাল রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞানীরা। গবেষণাটি নিয়ে এখনও একই খাতের সহ-গবেষকদের পর্যালোচনা বা পিয়ার রিভিউ বাকি রয়েছে। খবর রয়টার্সের
গবেষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বপ্রথম নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়। এছাড়াও এরই মধ্যে চীন, কঙ্গো, মরিশাস, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ডেও এই ধরন শনাক্ত হয়েছে।
সি.১ ধরনটি থেকে সি.১.২ অনেকখানি অভিযোজনের মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে পরিবর্তিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ঢেউ চলাকালীন সংক্রমণের মূল উৎস ছিল সি.১। সে তুলনায় অত্যধিক ক্ষতিকারক ক্ষমতার কারণে সি.১.২- কে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা বিপজ্জনক ধরনের কাতারে রেখেছেন গবেষকরা।
প্রতি মাসেই দ. আফ্রিকায় সি.১.২ ধরনে সৃষ্ট সংক্রমণ বাড়ার ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে। গত মে মাসে মোট সংক্রমণের মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হলেও জুন নাগাদ জিন সিকোয়েন্সিং তথ্যে এ হার ১.৬ শতাংশ উন্নীত হয়। এরপর, জুলাইয়ে হয়েছে ২ শতাংশ। বেটা ও ডেল্টা ধরন বিস্তারের সময়ও একই রকম বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল।
এর আগে ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ধরনকে সবচেয়ে হুমকি বলে মনে করা হচ্ছিল। এই ধরনের কারণেই ভারতে এপ্রিল এবং মে মাসে করোনাভাইরাসের মারাত্মক দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছিল।